আনন্দ চন্দ্র রায়ের একটি ভাস্কর্য

কলেজটির উচ্চ মাধ্যমিক শাখায় রায় বাহাদুর আনন্দ চন্দ্র রায়ের একটি ভাস্কর্য রয়েছে। শিক্ষাবিদ সত্যেন্দ্রনাথ বসু ছিলেন এই কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ। যিনি ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত এই পদে কর্মরত ছিলেন।

প্রথমে জমিদার রায় বাহাদুর আনন্দচন্দ্র রায় ১৮৮৬ সালে ‘রায় এন্ট্রান্স ইস্কুল’ নামে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৮৮ সালে মহারানি ভিক্টোরিয়ার ‘জুবিলি জয়ন্তী স্মারক চিহ্ন স্বরূপ এটিকে ভিক্টোরিয়া স্কুলে রূপান্তরিত করা হয়। পরবর্তীকালে ১৮৯৯ সালে তা পূর্ণাঙ্গ কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে ও ভিক্টোরিয়া কলেজ নাম ধারণ করে। একই বছর এই কলেজটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ হিসেবে গণ্য হয়।

১৯০২ সালে এক প্রচণ্ড অগ্নিকাণ্ডের ফলে এই কলেজটি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়। পরে আবারও তা পুনর্নির্মাণ করা হয়।

বর্তমানে কলেজটিতে ১৫৭টি সৃষ্ট পদে ১৭০ জন শিক্ষক পাঠদান করেন। শিগগিরই কলেজটিতে আরও ৩৩০টি পোস্ট তৈরি করা হবে। যার মধ্যে প্রত্যেক বিভাগে ২ জন অধ্যাপক, ৪ জন সহযোগী অধ্যাপক, ৪ জন সহকারী অধ্যাপক ও ৬ জন প্রভাষক থাকবেন। পাশাপাশি বাংলা ও ইংরেজি বিভাগে শিক্ষক থাকবেন কুড়িজন করে। খুব শিগগিরই আইসিটি বিভাগও তৈরি করা হবে। বর্তমান শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে উচ্চ মাধ্যমিক শাখায় একটি দশ তলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।

বর্তমানে কলেজটির ডিগ্রি শাখায় ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। ফুলের বাগান, পিচঢালা সংযোগ সড়ক, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য মিলে এক নয়ানাভিরাম ক্যাম্পাস। নিয়ন আলোয় রাতের ক্যাম্পাস আরও মোহনীয় হয়ে ওঠে।

কলেজটিতে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণ করেন চলচ্চিত্র শিল্প নির্দেশক ও চিত্রশিল্পী উত্তম গুহ। উত্তম গুহ বলেন, ১৯ নভেম্বর ২০১৬; এক ঐতিহাসিক দিন পূর্ববঙ্গের অন্যতম শ্রেষ্ঠ এই বিদ্যাপীঠ তথা বাঙালি জাতিসত্তার জন্য। সেদিন ধর্মপুরস্থ ডিগ্রি শাখায় স্থাপন করা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল, যাতে নির্মাণ করেছি ভাষা আন্দোলন, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের একটি আবহ, যা শিক্ষার্থীদের স্মরণ করিয়ে দেবে বাঙালির রক্তঝরা সংগ্রাম, স্বাধীনতার কথা আর আহ্বান জানাবে সে স্বাধীনতাকে রক্ষার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার কথা এবং হৃদয়ে ধারণ করবে বাংলার ভাষা-সংগ্রাম- স্বাধীনতা- বঙ্গবন্ধুকে, এর অবগুণ্ঠন উন্মোচিত হবে সবার একাত্মতায়।

কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ১০ লাখ ৫০০ টাকা ব্যয়ে ম্যুরাল তৈরি করা হয়। এর মূল বেদি ৬০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৫০ ফুট প্রস্থ। ৪টি স্তম্ভে এর উচ্চতা ৩৬ ফুট। ম্যুরালের ৩ পাশের সিঁড়ির ফাঁকা অংশে জাতীয় পতাকার আদলে সবুজ পাতার ঘাস এবং লাল পাতার গাছ রোপণ করা হয়েছে।

স্থাপত্য নকশা ম্যুরাল ও টেরাকোটা নির্মাণ শিল্পী উত্তম গুহ আরও জানান, ‘হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু’ স্মারক ম্যুরালে বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ম্যুরালে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, ভাষা আন্দোলনে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ ৫ শহীদের প্রতিকৃতি অঙ্কিত হয়েছে। কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবদুর রশীদ জানান, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকে

Leave a Comment